বিকল্প সূত্র

তোমার সঙ্গে দেখা কোনো শরৎকালে

সবাই যখন রাম-রাবণের গল্প শোনে

অন্তহীনা পথের মোড়ে দাঁড়িয়েছিলে

দৃশ্য-গভীর অন্তরালের প্রণয় মেনে

কথার পাকে নানা রঙের শিল্প ছিল

দু’ এক ফোঁটা অভিযোগে ফেরৎ দিলে

মিথ্যাচারীর হৃদয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল

উদোম দেহ ঠুকরে খাবে কাকে-চিলে

কিন্তু তবু দাঁড়িয়ে যাই সবার শেষে

ভিড়ের ভেতর এমনভাবে কেউ জানে না

তোমায় ছাড়া দিন যে কাটে ছদ্মবেশে

ধুলোয় মাখা পা দু’খানির নাই ঠিকানা

এই তো সেদিন সেসব বুঝি নয়তো দূরে

ভালোবেসে ছুঁয়েছিলে কপালখানি

চাঁদের উঠেছে জটার ভার ছিন্ন করে

মাথার ভেতর জ্বলতে থাকে সাপের মণি

ভেবেছিলাম ফিরব না আর এ শহরে

ছুটে যাবে বাউণ্ডুলে মেঘের মত

কিন্তু মেঘের সঙ্গে যখন বৃষ্টি পড়ে

ভেতর ভেতর বাড়তে থাকে নীরব ক্ষত

চোরাগলির অন্ধকারে আবার ফিরি

দিঘির পাড়ে পথের ধারে আবার দাঁড়াই

আবার প্রেমে অন্ধ হই জ্বলি পুড়ি

আবার তোমার নামের ঘ্রাণে বাজে সানাই

এখন আমি একেকটা দিন একেকটা রাত

সিংহের সাথে মোষের মত যুদ্ধ করি

কখন কেশর লাফায় শূন্যে বাড়ায় হাত

কখন হৃদয় নখের ফলায় বিদ্ধ করি

সারা শহর তোমার নামে পায়রা ওড়াই

বুকে পিঠে তোমার মুখের উল্কি আঁকি

নেশা ধরায় সেসব দিনের স্মৃতি-সুরাই

কিন্তু এই যে চাঁদের বোঝা কোথায় রাখি

তোমার প্রেমে ভস্মদশা আমার ধ্বজা

এবার তবে খড়গ তোমার আঘাত করুক

এবার তবে কীর্তিনাশো দাও হে সাজা

তোমার ত্রিশূল হৃদয়টাকে বিদ্ধ করুক

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অভিমন্যু

কবি জাফর সাদেক, যার কোনো উত্তরসূরী নেই, অভিজিৎ চক্রবর্তী